তবে কি এলিয়ান বাস করছে পৃথিবীতেই!!যুক্তরাস্ট্র প্রতিক্ষার নতুন প্রতিবেদন!

ইউএফও অর্থাৎ আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস নিয়ে মাতামাতি & কৌতুহল অনেক পুরোনো।ইউএফও এবং এলিয়েন নিয়ে গড়ে উঠেছে হাজারো রুপকথা কিংবা সিনেমা।অনেকের মতে মানুষে চেয়ে উন্নত কিংবা অনুন্নত প্রানি বাস করছে কোন জানা কিংবা অজানা গ্রহে এবং তারা প্রতিনিয়ত চোখে চোখে রাখছে পৃথিবী তথা মানুষের উপরে।অনেকের মত আমার অন্য কথা বলে তারা বলে অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে এক গোপন চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে এলিয়ানদের।তারা নাকি পৃথিবীতে এলিয়েন থাকার জায়াগাও করে দিয়েছে।সেসব নিয়েই আজকের টিউন।
UFO নিয়ে বরাবরি জল ঘোলা করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।মাঝে মাঝে শোনা যায় অসামঞ্জস্য কিছু উড়তে দেখা যায় আকাশে।সেই বস্তু কিংবা যানটির উড়া এতটাই তড়িৎ গতির এবং অদ্ভুত ধরনের যে অনেকের মতে এই প্রযুক্তি মানুষের হাতের নাগালের বাইরে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ফক্স নিউজকে বলেছিলেন "আমরা এমন সব বস্তুর কথা বলছি, যা নৌবাহিনী বা বিমানবাহিনীর পাইলটরা দেখেছে, অথবা যা উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। এগুলো এমন কাজ করে যা ব্যাখ্যা করা কঠিন।"
"এগুলো এমনভাবে চলাচল করে যা(উড়ন্ত বস্তুর পক্ষে) খুবই কঠিন, যেভাবে চলার মত প্রযুক্তি আমাদের নেই।এরা শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলছে কিন্তু 'সনিক বুমে'র মত কোন শব্দ হচ্ছে না।" সিবিএস নিউজের সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে সাবেক নৌবাহিনীর পাইলট বর্ণনা করেন প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে একটি ইউএফও দেখার অভিঙ্গতা।
আরেক নেভি পাইলট এ্যালেক্স ডিয়েট্রিখ মতে
"জিনিসটা ঠিক টিক-ট্যাকের মতই দেখতে,কিন্তু এটা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কিন্তু পাগলের মত এদিক-সেদিক ছুটোছুটি করছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম না - এটা কোনদিকে যাবে, কী করবে, অথবা কী পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে জিনিসটা এমনভাবে উড়তে পারছে।এর কোন ধোঁয়া ছিল না বা একে পরিচালনার জন্য কোন ইঞ্জিনও দেখা যাচ্ছিল না।এটা যেভাবে বাঁক নিচ্ছিল,সেভাবে চলতে হলে যে ফ্লাইট কন্ট্রোল দরকার, সেরকম কিছুও ছিল না।"

অনেকের মতে অ্যামেরিকান সংস্থা পেন্টাগন ২০০৭ সাল থেকে নিয়মিত ইউএফও এর বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে আসছে।এই সন্দেহ জোরদার হয় নেভাদা অঙ্গরাজ্যের সেনেটর হ্যারি রীডের নির্বাচনী এলাকার ভেতরে পড়া একটি আলোচিত জায়গা-এরিয়া ফিফটি ওয়ান এর রহস্যে।ইউএফও লজিস্ট রা বিশ্বাস করে এই শহরে একবার ইউএফও বিধ্বস্ত হয়েছিল।সেখান থেকে পাওয়া নমুনা ও তথ্যগুলো নিয়ে ১৯৪৭ সাল থেকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।অশ্চর্যের বিষয় এই যে এই ব্যপারে কোন প্রকার তথ্য প্রকাশ করেনি অ্যামেরিকা কিংবা পেন্টাগন।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাকাশ দফতরের সাবেক প্রধান হাইম এশেদ একটি সংবাদপত্রকে বলেছিলেন, মি. ট্রাম্প ও ভিনগ্রহের সাথে সম্পাদিত একটি চুক্তির অস্তিত্ব প্রকাশ করার কাছাকাছি চলে এসেছিলেন, কিন্তু মানুষের মধ্যে এ নিয়ে বেশি হৈচৈ পড়ে যাবে -এই ভয়ে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ড ডোনাল্ড ট্রাম্প তো সোজা সাপ্টা বলে দেন এলিয়েন বা কথিত ভিনগ্রহের প্রাণীদের ব্যাপারে তিনি যা জানেন - তা তিনি তার পরিবারের কাছেও প্রকাশ করবেন না।
তথ্য সুত্র-বিবিসি।

Post a Comment

0 Comments