মঙ্গল হল সূর্য থেকে দূরত্বের হিসাবে চতুর্থ বুধের পরেই সৌরজগতের দ্বিতীয়-ক্ষুদ্রতম গ্রহ।
ইংরেজি মার্স("Mars") নামটি এসেছে রোমান পুরাণেরযুদ্ধদেবতা মার্সের নামানুসারে । এই গ্রহের পৃষ্ঠতলে আয়রন অক্সাইডের আধিক্যের জন্য গ্রহটিকে লালচে রঙের দেখায়, যা খালি চোখে দৃশ্যমান মহাজাগতিক বস্তুগুলির মধ্যে এই গ্রহটিকে স্বতন্ত্রভাবে দর্শনীয় করে তোলে।সেই জন্য এই গ্রহটি "লাল গ্রহ" নামেও পরিচিত। মঙ্গল একটি শিলাময় গ্রহ। এই গ্রহের বায়ুমণ্ডল ঘনত্বহীন এবং পৃষ্ঠভাগের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে চাঁদের মতো অভিঘাত খাদযেমন দেখা যায়, তেমনই পৃথিবীর মতো উপত্যকা, মরুভূমি ও মেরুস্থ হিমছত্রও চোখে পড়ে।পৃথিবী ও মঙ্গলের আবর্তন কাল ওক্রান্তিবৃত্ততলের সাপেক্ষে ঘূর্ণাক্ষের নতি প্রায় একই রকমের হওয়ায় দুই গ্রহের
দিনরাত্রির সময়কাল ও ঋতুচক্র পৃথিবীরই অনুরুপ।
মঙ্গল গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহের সংখ্যা দুই।এগুলির নাম হল ফোবোস ও ডিমোস। এই উপগ্রহ দু-টি আকারে খুবই ছোটো ও অনিয়তাকার।
মঙ্গলের আয়তন ১.৬৩১৮×১০১১ঘন কি.মি।
পৃথিবী থেকে খালি চোখেই মঙ্গল গ্রহকে দেখা যায়। এই গ্রহের লালচে রঙের জন্য এটিকে সহজেই শনাক্ত করা যায়।মঙ্গলে অভিযান সোভিয়েত ইউনিয়ন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ইউরোপ, এবং জাপানের পক্ষ থেকে মঙ্গল
অভিমুখে ডজনখানেক নভোযান পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার সবই ছিল।
আর অভিযানগুলোর উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের ভূত্বক, জলবায়ু এবং ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা।
দুঃখজনক হলেও সত্যি,মঙ্গলে পাঠানো নভোযানগুলোর মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধির আগে ব্যর্থ হয়ে গেছে।
হয়ত মঙ্গল এর অজানা তথ্যগুলো অজানাই থেকে যাবে তা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
বি:দ্র, "ভূলত্রুটি মার্জনীয়"
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
0 Comments
Please dont share links
Emoji